1. bbdbarta@gmail.com : Delowar Delowar : Delowar Delowar
  2. bbdbartabd@gmail.com : Delower Hossain : Delower Hossain
  3. jmitsolution24@gmail.com : support :
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। ইতালী যাওয়ার পথে তিউনিশিয়ার ভূমধ্যসাগরে ৮ বাংলাদেশী নিহত ডেঙ্গুজ্বর এর লক্ষণ ও ধরন সম্পর্কে জানুন শিবচর রেল স্টেশনে জোড়া ট্রেন উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী মো: জিল্লুল হাকিম মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় ৩ প্রার্থী বিজয়ের পথে আজ ৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনা টেকেরহাট কুমার নদীতে বৈদ্যুতিক শক মেশিন দিয়ে মৎস্য নিধন হুমকিতে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু র সমাধিতে চীন: রাষ্ট্রদূতএর শ্রদ্ধা নিবেদন টুঙ্গিপাড়া শাখা গ্রামীণ ব্যাংকের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা গোপালগঞ্জে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হল বাঙ্গালীর প্রাণের উসব পহেলা বৈশাখ

১৬ জানুয়ারী গেল নবাব স্যার সলিমুল্লাহর মৃত্যুবার্ষিকী

  • Update Time : সোমবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৭৩ Time View

দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা, যার দান করা ৬০০ একর জমির উপর দা‌ড়িয়ে আছে আজকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল, বুয়েট সেই নবাব স্যার সলিমুল্লাহর আজ মৃত্যুবার্ষিকী।

***জীবনী :

নবাব সলিমুল্লাহর জন্ম ১৮৭১ সালের ৭ ই জুন। তাঁর বাবা ছিলেন নওয়াব স্যার খাজা আহসানউল্লা (১৮৪৬-১৯০১) এবং দাদা ছিলেন নওয়াব স্যার খাজা আবদুল গণি (১৮১৩-৯৬)। এই দুজনই ঊনবিংশ শতকের বাংলাদেশের সমাজ-রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। নিঃসন্দেহে পরিবারটি ছিল অভিজাত ও ধনাঢ্য। কিন্তু অভিজাত পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি সাধারণ মানুষের দুঃখকে নিজের দুঃখ মনে করতেন। তিনি আকাতরে দান-খয়রাত করে গেছেন।

স্যার সলিমুল্লাহর বাবা আহসানউল্লা ১৯০১ সালের ৭ ডিসেম্বর সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ করে ঢাকায় তথা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিলেন, প্রথম বিজলি বাতির আলো জ্বলেছিল আহসান মঞ্জিলে।

(১) নবাব সলিমুল্লাহ সেই যিনি সর্বপ্রথম পানীয় জল এবং টেলিফোন ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে আধুনিক ঢাকার জন্ম দেন।

(২) ঢাকার ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯০২ সালে তিনি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দান করেছিলেন। সেই টাকায় এবং তাঁর দান করা জমিতে স্থাপিত হয়েছিল আহসানউল্লা স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৯২২ সালে যা আহসানউল্লা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং ১৯৬০ সালে আহসানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে উন্নীত হয়। সেটিই এখনকার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (BUET)।

(৩) নবাব সলিমুল্লাহ যিনি ১৯০৩ সালে বড় লাট লর্ড কার্জন ঢাকায় সফরে এলে আহসান মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত দীর্ঘ বৈঠকে তার নিকট পূর্ব বাংলার সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। শেষ পর্যন্ত ঢাকাকে কেন্দ্র করে পূর্ববঙ্গ ও আসাম নামে একটি নতুন প্রদেশ গঠনের বিষয়ে ইংরেজরা মত দেয়।

(৪) নবাব সলিমুল্লাহ যিনি ১৯১১ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকার কার্জন হলে ল্যান্সলট হেয়ারের বিদায় এবং চার্লস বেইলির যোগদান উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নওয়াব আলী চৌধুরীকে নিয়ে পৃথক দুটি মানপত্র নিয়ে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

(৫) (DU) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি জমিই শুধু দান করেননি, প্রধান অর্থদানকারীও ছিলেন। এতে তাঁর অর্থভাণ্ডারে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। শেষে সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে মহাজনদের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছিল। জমিদারি চলে গিয়েছিল কোর্ট অব ওয়ার্ডসে।

(৬) নবাব সলিমুল্লাহ যিনি ১৯০৬ সালে নিজস্ব ইতিহাস ঐতিহ্য এবং ধর্ম রক্ষায় প্রায় ছয় মাসের প্রচেষ্টায় পাক-ভারত উপমহাদেশে ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ’ গঠন করেন।

(৭) নবাব সলিমুল্লাহ যার আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক শিক্ষা বিভাগে মুসলমানদের জন্য সহকারী পরিদর্শক ও বিশেষ সাব ইন্সপেক্টরের পদ সৃষ্টি করেন।

(৮) নবাব সলিমুল্লাহ যিনি বর্ণবাদী-ব্রাহ্

মণ্যবাদী চক্রান্তে ব্রিটিশ সামাজ্যবাদে শত বছরের অধিক চাষাভূষা, কচোয়ান-দাঁরোয়ান ও গোলাম বানিয়ে রাখা মুসলিমদের কথা ভেবে প্রথম জেগে উঠেন তারপর মুসলিমদের সংগঠিত করার কাজ শুরু করেন।

(৯) নবাব সলিমুল্লাহ, যিনি সুদূর তুরস্কের ভূমিকম্পে মানুষের কষ্টের কথা শুনে সাহায্যের জন্য টাকা-পয়সা পাঠিয়েছিলেন।

(১০) নবাব সলিমুল্লাহ, যিনি মানুষকে তার সকল সম্পদ অকাতরে বিলিয়ে দিয়ে ঋণী হয়েছিলেন। সোনালী ব্যাংক সদরঘাট শাখায় এখনও তার বন্ধক রাখা সিন্ধুক “দরিয়ায়ে নূর” রক্ষিত আছে।

আমরা ক’জন জানি এই মহান ব্যক্তির কথা ? তার অসামান্য কীর্তির কথা ?

এই বুয়েট না থাকলে কারা বিশ্বমানের ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ করে দিত ?

আজ যত-শত আবর্জনার মাঝেও আমাদের জ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাড়িয়েছে যেখানে, সেখানে এই মহান ব্যক্তিদের একটু জায়গা কোথায় !!

গতকাল ছিল ১৬ জানুয়ারী গেল নবাবের মৃত্যুবার্ষিকী। উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি , আল্লাহ্‌ উনাকে জান্নাত দান করুন (আমিন)।

– সংগৃহীত

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024