দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : গত মঙ্গলবার (২৬ এপিল) সকাল ১১ টায় গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ঘর পেলো ঘরহীন ৬১২টি পরিবার।প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা ৬১২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ঘর পেয়ে খুশি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কংশুর গ্রামের সেলিনা আক্তার। সেলিনা আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি আমাদের দুঃখ কষ্ট অনুভব করে ঘর দিয়েছেন। এখন আর পরের জমিতে থাকতে হবে না। স্বামীর যে আয় তা দিয়ে আগে সংসার চালাতে পারতাম না। তবে এখন কিছুটা সাশ্রয় হওয়ায় ভালভাবে সংসার চালাতে পারবো। নিজেদের অন্তত একটু মাথা গোঁজার ঠাঁয় হলো।
শুধু সেলিনা আক্তার নয় মাথা গোঁজার ঠাঁয় পেল জেলার ৬১২ টি পরিবার। সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। প্রত্যাশার সবটুকু পেয়ে ভূমিহীনরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা পর কেঁদে ফেলেন।
এসময় পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দীকা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবর্কি) মো: রাশেদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: ওসমান গনি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দীন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মিলন সাহা, সাবেক পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকুসহ সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলায় ৩য় পর্যায়ে ৫টি উপজেলায় ৬১২টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৯৩টি, মুকসুদপুর উপজেলায় ৪৬টি, কাশিয়ানী উপজেলায় ৪০টি, কোটালীপাড়া উপজেলায় ২৫টি এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৮টি ঘর রয়েছে। ৩য় পর্যায়ে আরো ৪৬১টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন অখ্যা “ক শ্রেণির ৩৩১১ টি পরিবার রয়েছে। এরমধ্যে ১ম পর্যায়ে ৮৫৬টি ও ২য় পয্যায়ে ১১৫৭টিসহ ২০১৩ টি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
সদর উপজেলার কংশুর গ্রামের রবি হালাদার, কামরুল মোল্যা, সামিউল হওলাদার বলেন, এবারের ঈদে চাল, ডাল, নয় দুই শতাংশ জমিসহ বসবাসের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধাসমৃদ্ধ ঘর পেলাম। দু’দিন আগেও থাকার জায়গা ছিল না, মাথা গোজার ঠাঁই ছিল না। এখন আমরা একটি বাড়ির মালিক। এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, জেলার ভূমি ও ঘরহীন পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলো। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা। তিনি সাধারণ মানুষের জন্য চিন্তা করেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
Leave a Reply