মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
কাশিয়ানীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ২ নভেম্বর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো জমজমাট নৌকাবাইচ অবাক করা কাণ্ড ভিসা পাসপোর্ট ছাড়াই বিমানে উঠে মুকসুদপুরের শিশু জুনায়েদ মাদারীপুরে ২৭নং লক্ষ্মীগঞ্জ স,প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিশুরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে বরিশালে বিএনপি নেতা গ্রেফতার মাদারীপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা মাদারীপুরে কনস্টেবল নিয়োগে ঘুস বাণিজ্য দুদকের মামলায় ৪ জন কারাগারে মাদারীপুরের শিবচর গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ফরিদপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীর মৃত্যু ভূমিকা চাওলা একজন বলিউড অভিনেত্রী
গোপালগঞ্জে উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

গোপালগঞ্জে উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : আজ সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এস এম মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদে ও অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মরকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

মিছিলটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সমানে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: মাইন উদ্দিন ভূঁইয়াকে অপসারেন দাবীতে বিভিন্ন শ্নোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।

পরে শিক্ষার্থীদের তিন সদস্যের একটি দল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বক) মো: রাশেদুর রহমানের কাছের প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের নানা অভিযোগ শোনেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ক্লাস রুমের সংকট থাকলেও তিনি তিনটি ক্লাস রুম দখল করে নিজের বাস ভব তৈরী করেছেন, স্কুলের ২৫ কম্পিউটারের মধ্যে ১৫ কম্পিউটার বিক্রি করে দিয়েছেন, বোর্ডকৃত রেজিষ্ট্রশন ফি ১৪৪ টাকার বদলে ৩৫০ টাকা ও টিফিন ফান্ড থেকে প্রতি মাসে ১২ হাজার টাকা ভাতা হিসাবে নিয়ে থাকেন তিনি।

এস এম মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আল আমিন বলেন, আমার জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুলে পড়াশোনা করি। এখানে আমরা দূর্নীতি শিখতে আসিনি। আমাদের টিফিন ফান্ড থেকে প্রতি মাসে ১২ হাজার টাকা নেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। যে কারনে আমাদের নিম্নমানের টিফিন দেয়া হয়।

৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী তাওশীন ইসলাম নাহিয়ান বলেন, আমাদের বেতন হলো ১২৫ টাকা। সেখানে তিন মাসে বেতন হয় ৩৭৫ টাকা। কিন্তু আমাদের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৮৪০ টাকা কের নিয়েছেন।

১০ শ্রেনীর শিক্ষার্থী সিয়াম আহম্মেদ বলেন, আমাদের কম্পিউটার ল্যাবে ২৫টি কম্পিউটার ছিল। কিন্তু এর মধ্যে ১৫টি কম্পিউটার বিক্রি করে দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। আমারা দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিচার চাই।

এ ব্যাপারে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি যা কিছু করেছি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে করেছি ব্যক্তিস্বার্থে কিছু করিনি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বক) মো: রাশেদুর রহমান বলেন, এস এম মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অাভিযোগ এরে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে।

আমি তাদের কথা শুনেছি। শিক্ষার্থীরা একটি অভিযোগ দিয়েছে। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছুটিতে ঢাকায় রয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2020
Desing & Developed BY BBDBARTA