দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : গোপালগঞ্জ মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলার সিমান্তর্বতী এলাকা কুমার নদীর পাড়ে টেকের হাট উত্তরপাড় ঐতিহ্যবাহী পাটের হাট।কৃষকদের কেউ নৌকা,টলার,টমটম ,নসিমন ও ইজিবাইক, ভান গাড়িতে, করে পাট নিয়ে আসেন হাটে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণ ও হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠে পুরো হাটটি। পাট কিনে হাট থেকেই দেশের দূরদূরান্তে তা সরবরাহ করেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
শনি ও বুধবার রাত তিন টা থেকে পাটের হাট বসে চলে দুপুর পর্যন্ত।গভীর রাতে হাটটি চালু হওয়ায় ক্রেতা বি ক্রেতারা বল্লেন কিছু কিছু সমস্যার কথা।খুলনা থেকে ঢাকা নৌ-পথ চালু থাকায় মধুমতি নদী হেয়ে কুমার নদীর কোল ঘেঁষে এই হাটটি গোপালগঞ্জ জেলার অন্যতম বড় পাটের হাট বলে সবার কাছে পরিচিত।
হাটের ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা জানান, বহু বছর আগে থেকেই প্রতি বুধ ও শনিবার হাট বসত। সে সময় পাশেই ছোটখাটো নদীবন্দর ছিল। গোপালগঞ্জ মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বড় বড় নৌকায় করে পাট নিয়ে আসতেন কৃষক ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।
টেকের হাট উত্তর পাড় পাটের হাটের ইজারাদার আট জন। তাঁদের একজন মো: সাহিদ শেখ জানান, জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে কৃষকেরা বিক্রির জন্য পাট নিয়ে হাটে আসেন এ হাটে। গত হাটে ৮০ টনের মতো পাট বেচাকেনা হয়। মানভেদে প্রতি মণ পাট ২ হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক ড. অরবিন্দু কুমার রায় জানান, এবছর গোপালগঞ্জ জেলায় ২৬ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে তোষা পাট ২৫ হাজার ৪১৯ হেক্টর, মেস্তা পাট ৫৮৬ হেক্টর ও দেশী পাট ১০৫ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়।
Leave a Reply