দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : দিনশেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭৮ রান। ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফল বোলার তাইজুল ইসলাম। ২টি নিয়েছেন পেসার খালেদ আহমেদ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশি বোলারদের সাদামাটা বোলিংয়ের সুযোগে প্রোটিয়াদের ওপেনিং জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায়। ১২তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৫২ বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার খালেদ আহমেদ। তার বলে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন ২৪ রান করা এরউইয়া।
৬৬ বলে ফিফটি তুলে নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ২৬ ওভারেই ১০০ ছাড়ায় প্রোটিয়াদের স্কোর। এরপর ফের কিগ্যান পিটারসেনকে নিয়ে জুটি গড়েন এলগার। ৮১ রানের এই জুটি ভাঙেন সিরিজে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার বলে লিটন দাসের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় এলগারের ৮৯ বলে ১০ চারে ৭০ রানের ইনিংস।
৩৯ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেটে ১৫৬ হতেই নেমে আসে বৃষ্টি। ২৪ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয়। এর আগেই ৭৪ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া পিটারসেনকে ৬৪ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। আম্পায়ার সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ।
এরপর ফের জুটি গড়েন টেম্বা বাভুমা আর রিকেলটন। ১১৩ বলে ফিফটি তুলে নেন বাভুমা। ৭৪তম ওভারের মাঝপথে শারীরিক সমস্যার জন্য মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান লিটন দাস। তার জায়গায় কিপিং শুরু করেন একাদশে না থাকা নুরুল হাসান সোহান। ৮৩ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি ভাঙেন তাইজুল।
তার বলে বাঁহাতি স্পিনার বলে রিভার্স সুইপ করেছিলেন রায়ান রিকেলটন (৪২)। বল তার গ্লাভসে লেগে ফার্স্ট স্লিপে ইয়াসির আলি চৌধুরীর হাতে জমা পড়ে। জোড়ালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার এরাসমাস। রিভিউ নিয়ে জিতে যায় বাংলাদেশ। টেম্বা বাভুমার সঙ্গী হন কাইল ভেরাইনা।
প্রোটিয়াদের দূর্গে পঞ্চম আঘাত হানেন খালেদ। ১৬২ বলে ৬৭ রান করা টেম্বা বাভুমার ক্যাচ স্লিপে অসাধারণ দক্ষতায় তালুবন্দি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় আম্পায়ারের সহায়তায় বাভুমাকে আউট ঘোষণা করা হলে ২৭১ রানে পাঁচ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭৮ রান। ভেরাইনা ১০* এবং মুল্ডার ০* রানে অপরাজিত। তাইজুল ৩২ ওভারে ৭৭ রানে ৩টি আর খালেদ ২০ ওভারে ৫৯ রানে ২ উইকেট নেন।
Leave a Reply