1. bbdbarta@gmail.com : Delowar Delowar : Delowar Delowar
  2. bbdbartabd@gmail.com : Delower Hossain : Delower Hossain
  3. jmitsolution24@gmail.com : support :
বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গাজায় কঠিন প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী নিহত-৪ জন প্রতিবছর সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দাখিলের নির্দেশ ভাঙ্গায় হোগলাডাঙ্গী সদরদী গ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ জেনেনিন ফরিদপুর থেকে ঢাকা গামি ট্রেনের সময়সূচিঃ- এবারের বিশ্বকাপের ২৯ দিন ও ৫৫ ম্যাচের শেষ হাসি হাসলো ভারত নগরকান্দা উপজেলায় সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মুকসুদপুরে বাস-প্রাইভেটকার-ইজিবাইকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২ জন দক্ষিন বঙ্গের সবচেয়ে বড় পশুর হাট রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট শ্রীপুরে র‍্যাব পরিচয়ে শ্রমিকদের বেতনবোনাসের ১৯ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই গ্রেতার-৫ জন টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বিমানবাহিনীর প্রধান হাসান মাহমুদ খাঁনের শ্রদ্ধা নিবেদন

বাংলাদেশে কর্ম পাচ্ছে না-এমন জনগোষ্ঠীর জন্য বেকারভাতা চালুর প্রস্তাব

  • Update Time : শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২
  • ৪৯২ Time View

দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : কর্মে ইচ্ছুক থাকলেও কর্ম পাচ্ছে না-এমন জনগোষ্ঠীর জন্য বেকারভাতা চালুর প্রস্তাব রেখে ‘কর্মসংস্থান নীতি-২০২২’ শিরোনামের খসড়া চূড়ান্ত করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

এটি মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে পরিচয়পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় কর্মসংস্থান তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা হবে। এতে কর্মে আগ্রহী ব্যক্তির পেশাগত দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ডাটাবেজে থাকবে।

এ নীতির আলোকে দক্ষ জনশক্তি ব্যবস্থাপনায় ‘কর্মসংস্থান অধিদপ্তর’ ও ‘জাতীয় ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সিল’ গড়ে তোলা হবে। যা দেশে কর্মশক্তিকে ভবিষ্যতের যে কোনো পর্যায়ের জাতীয় এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী করে তুলতে পারে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের কমপক্ষে অর্ধকোটির বেশি মানুষের কর্মদক্ষতাকে আরও উন্নত পর্যায়ের কর্মদক্ষতায় রূপান্তর করতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে সামনে রেখে বিশাল এ কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করতে না পারলে বাংলাদেশের অব্যাহত অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে।

দেশের অব্যাহত উন্নয়ন যাত্রা ধরে রাখতে কয়েক কোটি দক্ষ জনশক্তিকে প্রস্তাবিত নীতির মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নীতির খসড়াটি সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে।

কর্মসংস্থান নীতির খসড়ায় বলা হয়েছে, দেশের জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৮% এর বেশি হলেও কর্মের সুযোগ সৃষ্টির হার মাত্র ৩.৩২%। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে প্রতি বছর দেশের অভ্যন্তরে ১৮.৪ লাখ এবং বৈদেশিক কর্মে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করতে হবে। যাদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা যাবে না কিন্তু কর্মে ইচ্ছুক তাদের জন্য বেকার ভাতা চালু করা যেতে পারে।

নীতিটির গুরুত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমাদের কর্মদক্ষ জনশক্তিতে যারা আছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের দক্ষতা পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমান যে শিক্ষা ব্যবস্থা ও দক্ষতা আছে তা দিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে মোকাবিলা করতে পারব না। এজন্য জাতীয় কর্মসংস্থান নীতিতে এসব বিষয় ঢুকানো হয়েছে। সেইসঙ্গে শিক্ষানীতি, বাণিজ্যনীতিসহ প্রয়োজনীয় নীতি ও আইনে পরিবর্তন আনা হবে।

নীতিমালায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটানোর বিষয়ে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। যুবকদের বেকারত্বের হার বেড়ে এখন হয়েছে ১০.৬%। জনসংখ্যার হিসাবে এই মুহূর্তে দেশে যুবশক্তির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। তাদের সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

বৈদেশিক কর্মে নিযুক্ত বাংলাদেশি শ্রমিকদের শতকরা ৬২ শতাংশ অদক্ষ, ৩৬ শতাংশ আধাদক্ষ এবং মাত্র ২ শতাংশ দক্ষ। ফলে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকরা তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়ে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে পারছে না।

এ সমস্যাগুলোর মূল কারণ হিসাবে কর্মক্ষম মানুষদের উপযুক্ত কাজের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা বা প্রশিক্ষণের ঘাটতিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা একেবারে কমে যাবে যা প্রকারান্তরে দেশের প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিবে। ফলে ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ অনুযায়ী উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে।

খসড়া নীতিতে বলা হয়েছে, দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ছয় কোটির বেশি। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে পরিকল্পনামাফিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই কর্মসংস্থান নীতি করা হচ্ছে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এর অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মানসম্মত করা। দেশে থাকা হাজার হাজার কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিল্পের প্রয়োজনমাফিক জনশক্তি গড়ে তোলা হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরি এবং অর্ধদক্ষ শ্রমিকদের চাকরিকালীন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নীতিতে। নীতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশে কর্মক্ষম মানুষের জন্য ফরমাল সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ মাত্র ১৫ ভাগ।

ইনফরমাল সেক্টরে কাজ করে শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ। জাতীয় অর্থনীতিতে এদের অবদান সবচেয়ে বেশি। ফলে ইনফরমাল সেক্টরের কর্মক্ষেত্রে শোভন, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করে তাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের দক্ষতা কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করা হবে।

খসড়ায় উল্লেখ করা হয়, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। প্রথমদিকে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নামে মাত্র থাকলেও সম্প্রতি সময়ে এ ক্ষেত্রে বিশাল পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে ভালো ফল অর্জন করছে। ১৯৮৩ সালে শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ০৭ শতাংশ, বর্তমানে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশে। কর্মসংস্থান নীতিতে তাই নারীদের বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ রাখার কথা বলা হয়েছে।

কর্মসংস্থান নীতি বাস্তবায়নে ১১ চ্যালেঞ্জ : জাতীয় কর্মসংস্থান নীতিমালার খসড়াতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১১টি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে-খাতভিত্তিক আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অপর্যাপ্ততা, প্রশিক্ষণের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও সরঞ্জামাদি না থাকা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষকের অভাব,

দক্ষ শ্রমিক তৈরিতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের ঘাটতি, শ্রমিকদের শিক্ষা ও ভাষাজ্ঞানের অভাব, প্রশিক্ষণমান ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম যথাযথ পরিবীক্ষণ ও তদারকীর দুর্বলতা এবং খাত ভিত্তিক প্রশিক্ষিত জনবলের চাহিদা ও যোগান সম্পর্কিত সঠিক তথ্যের অপ্রতুলতা

। এছাড়া আছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতাকে যথাযথ অগ্রাধিকার প্রদান না করা, প্রশিক্ষণ ব্যয় বহন করার জন্য প্রয়োজনীয় সংগতির অভাব, সাধারণ মানুষের ভ্রান্ত ধারণা ও বিশ্বাস, পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর উপযোগী দক্ষ কর্মক্ষম জনশক্তি গড়ে তোলা এবং খাত ভিত্তিক আধুনিক প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল ও প্রশিক্ষকের ঘাটতি।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়ম অনুযায়ী, মজুরির বিনিময়ে সপ্তাহে এক ঘণ্টার কম কাজের সুযোগ পান, এমন মানুষকে বেকার হিসাবে ধরা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, দেশে বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বেকার চার লাখের বেশি।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত ‘স্টাডি অন এমপ্লয়মেন্ট, প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড সেক্টরাল ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ছদ্মবেকারের সংখ্যা সোয়া কোটি। যেসব তরুণ-তরুণী (১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সি) কাজের মধ্যে নেই, আবার পড়াশোনা বা প্রশিক্ষণেও নেই, তাদের ছদ্মবেকার বলা হচ্ছে।

নীতির খসড়ায় বলা হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রতিবছর অতিরিক্ত ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয়ের প্রত্যাশা নিয়ে দেশব্যাপী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম চালাচ্ছে সরকার।

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশ, ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পেরিয়ে সর্বোপরি ২১০০ সালের মধ্যে নিরাপদ ব-দ্বীপ গঠনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব মহাকর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন প্রশিক্ষিত দক্ষ জনবল।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024