বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন বিজয় মাসে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি দু’র্ধ’র্ষ বীর বিক্রম হেমায়েত উদ্দিনকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নাম করনের সংক্ষিত ইতিহাস জানুন গোপালগঞ্জ-৩ আসনে যাচাই-বাছাইয়ে শেখ হাসিনাসহ বৈধ ৫জন বাতিল ৩ প্রার্থী গোপালগঞ্জ-২ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল -২ জন বৈধ-৬ প্রার্থী গোপালগঞ্জ-০১ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল-১ জন বৈধ-৫ প্রার্থী রাজৈর উপজেলায় মানহানির মামলায় আবদুস সালাম খন্দকারের এক বছরের কারাদণ্ড গোপালগঞ্জ জেলায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩টি আসনে ২২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল ফরিদপুরের সালথায় বিদেশি মদসহ এক নারী গ্রেফতার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের তিনটি আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন যারা
সালথা উপজেলায়পুলিশের নির্যাতনে দুই কৃষক হাসপাতালে

সালথা উপজেলায়পুলিশের নির্যাতনে দুই কৃষক হাসপাতালে

দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বিনা ওয়ারেন্টে আটকের পর থানায় নিয়ে দুই কৃষককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আদালত থেকে জামিন পেয়ে ওই দুই কৃষককে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ওই দুই কৃষক হলেন মৃত আব্দুল ওসমান খানের ছেলে আব্দুল হক খান (৭০) ও মৃত আফতাব মোল্লার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা (৬৫)। তাদের বাড়ি সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বাইলা গ্রামে।

আহত কৃষক কুদ্দুস মোল্লা বলেন, ইফতারির পরে আমাদের গ্রামের পাশের পাড়ায় গণ্ডগোল হয়। ওই হট্টগোলের শব্দ শুনে কী হচ্ছে দেখতে বের হলে পুলিশ আমাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর গারদ খানার মধ্যে চিৎ করে শুইয়ে দিয়ে থানার ওসি বেদম পেটায়। তিনি বলেন, আমি তাদের অনেক অনুনয়-বিনয় করেছি যে, আমি সারাদিন রোজা রেখে পেঁয়াজ ক্ষেতে কাজ করেছি। খাটুনির শরীর আমার। আমাকে মাইরেন না। তারপরেও শোনেনি তারা।

নির্যাতনের শিকার অপর কৃষক আব্দুল হক খান বলেন, আমাকে থানায় নিয়ে প্রথমে এসআই মিজান দেওয়ালের সঙ্গে বুক লাগিয়ে হাত ওপরে দিয়ে পেছনে মারতে থাকে। আমি এভাবে দাঁড়ায় থাকতে পারতেছি না বললে আমাকে গারদে ঢুকিয়ে সেখানে চিৎ করে শুইয়ে পেছনে পেটানো হয়। মারতে মারতে আধমরা করে ফেলে রাখে।এদিকে, সেহরির সময় তাদের মধ্যে কারা রোজা রাখবেন জিজ্ঞাসা করলে চারজন রোজা রাখবেন বলে জানান। তবে তাদের সেহরির জন্য ইফতারির সময় রান্না করা ঘেমে ওঠা খিচুড়ি খেতে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। আব্দুল হক বলেন, ‘দিনভর রোজা, ইফতারি করি নাই। সেই অবস্থায় আমাগে ধইর্যা নিছে। তারপর সেহরির সময় আলা খিচুড়ি (ঘেমে ওঠা) খাবার দিছে। আর কিছু দেয় নাই।’এদিকে, থানায় এভাবে মারধরের পর আদালতে বিষয়টি নিয়ে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেওয়া হয় বলেও তারা অভিযোগ করেন। অন্যথায়, আবার ধরে এনে মারধর করা হবে বলেও ভয়ভীতি দেখানো হয়।

এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক জাগো নিউজকে বলেন, সেখানে ওই রাতে দুই নারীকে মারধর ও কোপানো হয়। তাদের একজন ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছে। দুটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন দ্য স্পট আমরা তাদের আটক করে দ্রুত বিচার মামলায় আদালতে পাঠিয়েছি। এর বেশি কিছু না। আর সেহরির সময় তাদের নষ্ট খিচুড়ি খাওয়ানোর অভিযোগও সঠিক নয়।সি বলেন, আটক হলেও তাদের মানবাধিকার আছে। আদালত বিচার করবে তারা অপরাধী কী না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2020
Desing & Developed BY BBDBARTA