দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : গত কাল ১২ই ডিসেম্ব গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার অর্ন্তগত দিগনগর ফেরীঘাট ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়েছিল।জানাযায় ঘটনাবহুল মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনারা এখানে ক্যাম্প করে তারা পার্শবর্তী বিভিন্ন গ্রাম ও অঞ্চলে আক্রমন করে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন এবং হত্যাযজ্ঞ চালায়। অপর দিকে মুক্তিযোদ্ধারাও বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময় পাল্টা আক্রমন, প্রতিরোধ ও খন্ডযুদ্ধ চালায়। উল্লেখ্যযোগ্য ২টি ঘটনার মধ্যে দিয়ে যুদ্ধ হয়- প্রথমত. বর্ষার শেষের দিকে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির তালুকদারের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা রাতে দিগনগর পূর্ব পাড়ে পাকসেনাদের ক্যাম্প আক্রমন করে। ভয়াবহ যুদ্ধ চলতে থাকা অবস্থায় দূর্ভাগ্যক্রমে সকাল হয়ে যায় এবং তারা যখন নৌকা নিয়ে চলে আসতে যায় তখন পানি কম থাকায় জমির আইলে নৌকা আটকে যায়। সে সময় ঘটনাস্থলে ২জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং আট জনকে পাকসেনারা ধরে নিয়ে যায়। তার মধ্যে একজন নাসির তালুকদার কে জেলখানায় পাঠায় বাকি ৭ জনকে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় ৯জন শহীদের নাম- ০১। শহীদ জীন্নাত আলী খান, ০২। শহীদ হারুন অর রশিদ, ০৩। শহীদ হায়দার আলী মাতুব্বর, ০৪। শহীদ নুরুল ইসলাম মল্লিক, ০৫, শহীদ শামচুল হক মল্লিক, ০৬। শহীদ মতিয়ার রহমান, ০৭, শহীদ মোঃ জালাল, ০৮। শহীদ মোঃ খোকা ফকির, ০৯। শহীদ প্রমথ রঞ্জন বাগচী।
. ২য়- ১১ ডিসেম্বর চুড়ান্ত যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন গ্রুফ সম্মিলিত হয়ে চর্তুমূখী আক্রমন করলে পাকসেনারা চুড়ান্তভাবে পরাজিত হয়। সে যুদ্ধে ৩জন শহীদ হন। ০১- হায়দার আলী খন্দকার, ০২- আবুল কাশেম মোল্লা, ০৩- জাফর শিকদার। এসকল শহীদদের স্মরনে সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। তাই গত কাল ১২ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত একটি স্বরণীয় দিন হিসাবে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথী হিসাবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব বদরুদ্দোজা বদর জেলা কমান্ডার গোপালগঞ্জ ও মুকসুদপুর উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মো: ফিরোজ খান সহ স্থানীয় সকল মুক্তিযোদ্ধারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply