দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : দেশটির স্থানীয় সময় শনিবার (১২ মার্চ) রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর প্রক্রিয়াটি খুবই বিপদজনক। অস্ত্র সরবরাহের এসব বহর রুশ হামলার বৈধ লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেন দখল করার ইচ্ছা ক্রেমলিনের নেই। দেশটিকে নিরস্ত্রীকরণ করতে ও নাৎসিবাদের বিস্তার রুখতে হামলা চালানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ইউক্রেনের কয়েকটি শহরের দখল নিয়েছে রাশিয়ার সেনারা।
পুতিন রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলের পরিস্হিতি জানান এবং বলেন যে জাতিসংঘ সনদের সপ্তম অধ্যায়ের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আমি সেখানে একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।
ইউক্রেন আর রুশ বাহিনীর মধ্যে সংঘাত অবশ্যম্ভাবী ও সময়ের ব্যাপার উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ন্যায়বিচার ও সত্য রাশিয়ার পক্ষে রয়েছে। তিনি সতর্ক করেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কেউ পদক্ষেপ নিলে এমন শিক্ষা দেওয়া হবে যা কোনোদিন কেউ দেখেনি।
পুতিন এমন সময় ইউক্রেনে সেনা অভিযানের নির্দেশ দেন যখন নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক চলছিল। মস্কোর স্হানীয় সময় ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন তিনি। এর কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা এবং মিসাইল হামলা শুরু হয়। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে জরুরি সাইরেন বাজানো হয় এবং মহাসড়কগুলোতে ছিল শহর ছেড়ে যেতে চাওয়া মানুষের গাড়ির ভিড়।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ হামলার পেছনে যুক্তি দিয়ে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের লুহানস্ক ও দোনেত্স্ক পিপলস রিপাাবলিকের দুই নেতা ডেনিস পুশলিন ও লেওনিড পাসেশনিক রাশিয়ার কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সেনা সেখানে সমানে আগ্রাসন চালাচ্ছে।
তা ঠেকাতে গেলে রাশিয়ার সামরিক সাহায্য দরকার। পেশকভ জানিয়েছেন, দুই বিদ্রোহী নেতা পুতিনকে লিখেছেন যে, ইউক্রেনের সেনা প্রবল গোলাবর্ষণ করছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছেন। এই দুই নেতার মতে, ইউক্রেন যে ডনবাসে যুদ্ধ থামাতে চাইছে না, তা তাদের এই আচরণ থেকেই স্পষ্ট।
Leave a Reply