দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : পবিত্র মাহে রমজান শেষে ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। আগামী ছুটির দিনগুলোতে আরও বেশি পর্যটক আসবে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
স্থানীয়রা জানান, মোংলা থেকে সবচেয়ে কাছাকাছি ও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র করমজলেই ভিড় সবচেয়ে বেশি ভ্রমণপিয়াসীদের। এছাড়াও বনের হাড়বাড়ীয়া, কটকা, কচিখালী ও আন্ধারমানিকসহ অন্যান্য স্পটে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। এ ছুটিতে বড় বড় বিলাসবহুল লঞ্চে সুন্দরবন ভ্রমণ কসুন্দরবন ঘুরতে আসা রাজশাহীর শিক্ষার্থী শামসুননাহার ডারিন ও মিজানুর রহমান মিজু বলেন, এর আগে কখনও সুন্দরবনে আসা হয়নি। না আসলে বোঝাই অসম্ভব সুন্দরবন আসলেই কতো সুন্দর। খুব ভাল লেগেছে, বন্ধু-বান্ধব মিলে ভীষণ আনন্দ করলাম।
রছেন নানা দেশের নানা বয়সের মানুষেরা।সিলেটের মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মিজবাহ উদ্দিন ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ী অলিপ গোলদার বলেন, সুন্দবনে এসে হরিণ, কুমির, বানর, কচ্ছপ দেখলাম। সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ারের ওপর থেকে ছাতার মত বিস্তৃত বনের বিভিন্ন গাছপালা দেখে প্রাণ ভরে গেছে। কি সবুজ সজিব শীতল পরিবেশ, মনে হয় নির্মল এক অক্সিজেনের কারখানায় এসেছি।
ঢাকা থেকে পরিবারসহ মোস্তফা জামান তার পরিবার নিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণে এসে বলেন, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। কিন্তু সুন্দবনের মতো এতো আনন্দ উপভোগ করতে পরিবারকে আগে কখনও দেখিনি। যত দেখছি ততোই মন জুড়াচ্ছে, ভাবছি এতোদিনে কেন আসলাম না।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবির হোসেন বলেন, সুন্দরবনের যে বিশাল সম্পদ রয়েছে তার সুষ্ঠু ব্যবহার করা গেলে তাতে উপকূলের মানুষের মঙ্গল হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে ঘুরতে এসে বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদাণের বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটক আগমনের সংখ্যা বিগত সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ছুটির দিনেও পর্যটকদের নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
Leave a Reply