দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : গোপালগঞ্জ জেলার অন্তগর্ত মুকসুদপুরের উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামে রয়েছে ঐতিহাসিক গাজীর ভুই র মাঠ প্রাঙ্গন ও একটি অনাবাদি বিশাল জমি । জানাযায় আজ থেকে দুই শতর বছরে ও বেশী আগে থেকে গাজী আর কালু দুই ভাই, অচিনপুর রাজ্যে ছিল তাদের বাস।”গাজী” প্রকৃত নাম নয়, ইহা ধর্মীয় উপাধি । ইহার অর্থ মুজাহেদ বা ধর্মযুদ্ধে বিজয়ী বীর, অর্থৎ বিধর্মীদের সাথে যুদ্ধ করে যিনি জয়লাভ করেন, তিনিই ‘গাজী’ নামে সম্মানীত হন।তাঁর প্রভাব ও প্রতিপত্তিতে দক্ষিণ অঞ্চল অর্থাৎ ভাটি অঞ্চলে ইসলাম বিস্তার লাভ করে।
ইতিহাস ও পৌরাণিক কাহিনীখ্যাত গাজী ও কালুর নাম এতদাঞ্চলে সর্বজন বিদিত। ধর্মমত নির্বিশেষে সকলেই গাজীর নামে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে থাকেন। এককালে গাজী তাঁর দুর্জয় শক্তিদ্বারা এমন অভাবনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলেন যে, সমগ্র দেশ গাজীময় হয়ে উঠেছিল। বিভিন্ন স্থানেরনেয় বাংলাদেশের দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের বর্তমান .গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরের উপজেলাধীন রাঘদী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামে একটি অনাবাদি বিশাল জমির সন্ধান পাওয়া যায় যাহা এলাকাবাসীর কাছে গাজীর ভুই নামে পরিচিত ।
বহু বছর আগে থেকে বড়দিয়া গ্রামে গাজী ও কালু পীরের ছিল অনেক ভক্ত তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আফতাব ফকিরের ছেলে আকলেম ফরিক(৯৮) আদেল শরীফের ছেলে তোফেল শরীফ(৯৫) মৃর্ত মোন্তাজদ্দিন মোল্যার ছেলে রাজা মোল্যা,হাচেন শেখ এর ছেলে মৃর্ত হাসেম শেখ একই গ্রামের জগাই শেখ এর ছেলে রাজ্জেক শেখ সহ অরোও অনেকে তারা এই গাজীর ভুইতে অয়োজন করতেন গাজী ও কালুর নামে ফকিরের মেলা।অনাবাদি বিশাল জমির ঠিক মাঝ খানে ছিল একটি কুপ বা বড় গর্ত তার মধ্যে প্রতিদিন ঢালা হত কয়এক শত লিটার দুধ ।কুপের ভিতরে মোমবাতি জ্বালিয়ে বাতাসা ছিটায়ে নানা ধরনের রোগ ব্যাধির চিকিৎসা ,নি:সন্তাদের সন্তান পাওয়ার আশা সহ প্রায় সব ধরনের মনবাসনা পুরনের জন্য হাস মুরগী,গরু খাসি বিভিন্ন ধরনের ফলফলালি নিয়ে আসত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার প্রায় সকল বয়সী নারী পুরুষেরা।অন্ধ বিশ্বাসে গাজীর মানত-শিরনি করে এ গর্ত থেকে মাটি তুলে নিয়ে যেত তারা।
Leave a Reply