বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
বিজয় মাসে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি দু’র্ধ’র্ষ বীর বিক্রম হেমায়েত উদ্দিনকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নাম করনের সংক্ষিত ইতিহাস জানুন গোপালগঞ্জ-৩ আসনে যাচাই-বাছাইয়ে শেখ হাসিনাসহ বৈধ ৫জন বাতিল ৩ প্রার্থী গোপালগঞ্জ-২ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল -২ জন বৈধ-৬ প্রার্থী গোপালগঞ্জ-০১ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল-১ জন বৈধ-৫ প্রার্থী রাজৈর উপজেলায় মানহানির মামলায় আবদুস সালাম খন্দকারের এক বছরের কারাদণ্ড গোপালগঞ্জ জেলায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩টি আসনে ২২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল ফরিদপুরের সালথায় বিদেশি মদসহ এক নারী গ্রেফতার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের তিনটি আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন যারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে লড়বেন ২২ জন নারী।
গোপালগঞ্জে করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিধবা নারীর সংবাদ সম্মেলন

গোপালগঞ্জে করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিধবা নারীর সংবাদ সম্মেলন

দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ র্বাতা :  শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে গোপালগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগে ও বিয়ের দাবীতে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক বিধবা নারী। নাজমা বেগম (৪৭) বনগ্রাম পশ্চিমপাড়া নিজ বাড়ীতে সদর উপজেলার ১৪নং করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমানের (সোনা মিয়া) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে বিয়ের দাবী করেন।

ভূক্তভোগী বলেন, ছয় মাস আগে এস, এম, হাবিবুর রহমান (সোনা মিয়া) আমার বাড়ীতে এসে বলেন কৈশোর কাল থেকে আমি তোকে ভালবাসি, এখনও তোমাকে ভালবাসি, আর যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন তোমাকে ভালবেসে যাবো। এমন কথা বলে চেয়ারম্যান আমার বিশ্বাস তৈরী করেন। পরে আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, তোমার লোকজন নিয়ে আমার নির্বাচন করো ও নির্বাচনের পর তোমাকে বিয়ে করবো।

ওই নারী আরও বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচনের সময় সুকৌশলে আমার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নেন এবং বিয়ে করার মিথ্যা প্রলোভন দেয়। নির্বাচনের পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক মেলামেশা করেন। এরপর তাকে বিয়ে করার কথা বললে তিনি আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। চেয়ারম্যান আমার মানসম্মান নষ্ট করেছেন। এলাকায় মুখ দেখানো দায় হয়ে পড়েছে। তাই আমি বিয়ে করার দাবী করছি। তা না হলে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় থাকবে না।

এ ব্যাপারে করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান (সোনা মিয়া) মুঠোফোনে বলেন, আমাকে হেয় করতে নির্বাচনে পরাজিতরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যাতে আমার চেয়ারম্যান শিপ চলে যায়। সে জন্য এই অভিযোগ করা হচ্ছে। ওই নারীর সঙ্গে আমার কোন দিনই আর্থিক ও শারীরিক সম্পর্ক ছিলো না। তবে নির্বাচনে ওই নারী আমার দল করেছেন, আমার জন্য ভোট চেয়ে আমার পক্ষে কাজ করেছেন।

এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী ওই নারী গত ১৪ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, গোপালগঞ্জে ১৪ নং করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2020
Desing & Developed BY BBDBARTA