বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন বিজয় মাসে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি দু’র্ধ’র্ষ বীর বিক্রম হেমায়েত উদ্দিনকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নাম করনের সংক্ষিত ইতিহাস জানুন গোপালগঞ্জ-৩ আসনে যাচাই-বাছাইয়ে শেখ হাসিনাসহ বৈধ ৫জন বাতিল ৩ প্রার্থী গোপালগঞ্জ-২ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল -২ জন বৈধ-৬ প্রার্থী গোপালগঞ্জ-০১ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল-১ জন বৈধ-৫ প্রার্থী রাজৈর উপজেলায় মানহানির মামলায় আবদুস সালাম খন্দকারের এক বছরের কারাদণ্ড গোপালগঞ্জ জেলায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩টি আসনে ২২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল ফরিদপুরের সালথায় বিদেশি মদসহ এক নারী গ্রেফতার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের তিনটি আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন যারা
গোপালগঞ্জ ঐতিহাসিক পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

গোপালগঞ্জ ঐতিহাসিক পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : গত কাল ৭ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার মুক্ত হয় গোপালগঞ্জ। এদিন বিজয় উল্লাসে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মেতে উঠেছিল সাধারণ জনতা।১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ থেকেই গোপালগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গোপালগঞ্জ মুক্তি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। মুসলিমলীগ নেতাদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ৩০ এপ্রিল শহরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে শহরের ব্যাংক পাড়ায় বঙ্গবন্ধুর বাড়ি (বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়) পুড়িয়ে দেয়। এরপর পাকিস্তানি সেনারা ১০/১২টি দলে বিভক্ত হয়ে শহরের হিন্দু অধ্যুষিত স্বর্ণপট্রি, সাহাপাড়া, সিকদারপাড়া, চৌরঙ্গী এবং বাজার রোডে লুটপাট করে আগুন দেয়। তার এক হাজার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় ও নীরিহ বাঙালিদের হত্যা করতে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদাররা উপজেলা পরিষদের মিনি ক্যান্টনমেন্টের মুক্তিকামী সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে হত্যা করে গণ-কবর দেয়।

৬ ডিসেম্বর সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে বিভক্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা গোপালগঞ্জ শহরে প্রবেশ করতে শুরু করেন। চারিদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ বাড়াতে শুরু করলে ওইদিন রাতেই গোপালগঞ্জ সদর থানা উপজেলা পরিষদ (বর্তমানে) সংলগ্ন জয় বাংলা পুকুর পাড়ের মিনি ক্যান্টমেন্ট ছেড়ে পালিযে যায় পাকিস্তানি সেনা ও তাদের এ দেশি দোসররা। পরে মেজর সেলিমের অধীনে পাক হানাদার বাহিনীর একটি দল ঢাকায় যায়। অন্য একটি দল চলে যায় ভাটিয়াপাড়ার ওয়ারলেস্ ক্যাম্পে। ৭ ডিসেম্বর ভোরে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করে মুক্তিযোদ্ধারা, আর সেই সঙ্গে মুক্ত হয় গোপালগঞ্জ শহর ও এর আশপাশ এলাকা।

দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মো. কাজী মাহবুবুল আলম ও পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা। পরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে জেলা প্রশাসক মো কাজী মাহবুবুল আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাভোকেট মুন্সী আতিয়ার রহমান, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহসীন উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

 

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2020
Desing & Developed BY BBDBARTA