দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হলেও বাকি ৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের শেষ দিনে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে টানা ৭ বার সংসদ সদস্য ও তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে শেখ হাসিনা। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা ৮ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ আসন থেকে ন্যাশনাল পিলস পার্টির শেখ আবুল কালাম, গণ ফ্রন্টের সৈয়দা লিমা হাসান, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির এম নিজাম উদ্দিন লস্কর ও জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্যার মনোনয়নপত্রও বৈধ ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া আয়কর রিটার্ন জমা না দেয়া, হলফনামায় তথ্য গোপন ও ১ শতাংশ ভোটের স্বাক্ষর না মেলার কারণে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. সাহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির শিশির চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামাল হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বৈধ প্রার্থীরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলেও বাতিল হওয়া প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন।
গোপালগঞ্জ-৩ আসনের ন্যাশনাল পিলস পার্টির প্রার্থী শেখ আবুল কালাম বলেন, আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমি আশা করবো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। এদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখান জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
অপর প্রার্থী জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্যা বলেন, জাকের পার্টি একটি আদবের পার্টি, জাকের পার্টি মেহনতী মানুষের পার্টি, জাকের পার্টি একটি ইসলামিক পার্টি। ইসলামের জন্য যা যা করার দরকার আমরা তাই করবো।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী শিশির চৌধুরী বলেন, আয়কর রিটার্ন জমা না দেয়ার কারণে আমার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র ঠিক রাখতে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার কাজ শুরু করেছি। এ ছাড়া আমি নির্বাচন কমিশনেও আপিল করবো।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আয়নাল হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, এতে আমরা আনন্দিত। কেননা প্রধানমন্ত্রী প্রতিবার এখান থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আমরা এবারো প্রধানমন্ত্রীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী করতে কাজ করে যাচ্ছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম বলেন, আমার নেতাকর্মীরা আনন্দিত। আগামী ৭ জানুয়ারি কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়ার মানুষ ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। আমরা নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছি নির্বাচনী কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে করার জন্য।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান বলেন, মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করায় আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। এ ছাড়া আরও ৪টি মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সমানে রেখে আরও ২টি আসনের প্রার্থী শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও মুহাম্মদ ফারুক খানের পক্ষে কাজ করার জন্য সাংগঠনিকভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে মোট ৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৩ জনের বাতিল করা হয়েছে। তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, জেলার তিনটি আসনে ২২ জন প্রার্থী মনোনয়পত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে ১৬ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৬ জনের বাতিল করা হয়েছে।
Leave a Reply