দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মোৎসব উদ্যাপন করেছে সাহিত্য একাডেমি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ২৬ মে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা, আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে ‘নজরুলজয়ন্তী’ পালন করে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া ২৫ মে (১১ জৈষ্ঠ) অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন বলেন, এবছর নজরুলজয়ন্তী বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর পূর্ণ হলো নজরুলের কালজয়ী কবিতা ‘বিদ্রোহী’ রচনার শতবর্ষ।
সাহিত্য একাডেমি প্রতিবছর নজরুল-রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন করে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন এই ধারাবাহিকতায় এবারও কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করছি আমরা।
কবি জয়দুল হোসেন বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন নিপীড়িত মানুষের কবি। সারা জীবন তিনি সমাজের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে কলম ধরেছেন। নির্ভীক চিত্তে কবি কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা ও কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষুরধার রচনা অব্যাহত রেখেছেন। থেকেছেন আপসহীন। লোভ–খ্যাতির-মোহের কাছে মাথা নত করেননি।
তিনি বলেন, নজরুল মানুষের হৃদয়ের কোমল অনুভূতির প্রতিও সমান আবেগে সাড়া দিয়েছেন। অজস্র গানে সমৃদ্ধ করেছেন বাংলার সংগীত ভুবন। ‘নজরুলজয়ন্তী’ পালনের মাধ্যমে মূলত আমরা নিজেদেরই ঋদ্ধ করছি।
আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি জয়দুল হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবু তাহের, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি শামসুদ্দিন আহমেদ, নবীনগর উপজেলার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু ও কবি আমির হোসেন।
সঙ্গীত পরিবেশন করেন তিতাস ললিত কলা’র সদস্য তোফাজ্জল হোসেন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন মাহবুবা জামান ডেন্সী, বুশরা, নাশিদ সাবা নূর তাসনীম, রিপন দেবনাথ, নূর মাহদী এহতেশাম, নাফিজা নাওয়ার নোহা ও সাঈদ সরকার।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘কামাল পাশা’ দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেন সাহিত্য একাডেমি আবৃত্তি শিল্পী বুশরা, মার্সি, সাথী ইসলাম, সাবরিনা ইসলাম, শিফা চৌধুরী, রামীম, আমান, সাফা, কোহিনূর আক্তার, সৈকত ভূইয়া, নোহা, জান্নাত, সাব্বির আহমেদ, সামিয়া, বিনয়, সানজিদা আক্তার, মাহদী, সাব্বির আহমেদ। নির্দেশনায় ছিলেন সোহেল আহাদ। সঞ্চালনায় ছিলেন মানিক রতন শর্মা এবং নুসরাত জাহান বুশরা।
Leave a Reply