দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : মাদারীপুর জেলার অন্তর্গত রাজৈর থানার টেকেরহাট কুমার নদীতে গভীর রাত্রে কিছু অসাধু জেলে আল্ট্রাসনিক ইলেকট্রিক ফিশিং ইনভার্টারের সাহায্যে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ শিকার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কম সময়ে বেশি মাছ পাওয়ার আশায় কিছু অসাধু লোভী জেলে এ পন্থা বেছে নিয়েছে।
গত শনিবার গভীর রাত্রে টেকেরহাট কুমার নদীতে আবুল কালাম শেখ ও হবি খা এর মাছের ঘেরের মধ্যে বৈদ্যুতিক শক মেশিন দিয়ে মাছ শিকার করে ।পরে স্থানীরা খবর পেয়ে আল্ট্রাসনিক ইলেকট্রিক ফিশিং ইনভার্টার মেশিন,ব্যাটরী ও একটি নৌকা সহ দুই জন অবৈধ মৎস্য শিকারী কে আটক করে স্থানিয়রা পরে তারা মালামাল রেখে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে চরপ্রসন্নদী গ্রামের হবি খা বলেন কুমার নদীতে আমার মাছের ঘেরের মধ্যে কে বা কাহারা চুরি করে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এভাবে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ ধরার কারণে হুমকিতে পড়েছে কুমার নদীর জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ।
গোয়াল বাথান গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত মালো বলেন বলেন, বৈদ্যুতিক শক মেশিন দিয়ে মাছ ধরার কারণে কুমার নদীর পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিছু অসাধু প্রকৃতির জেলে এ পথ বেছে নিয়েছে।আমরা গভীর রাত্রে পাহারা দিয়ে দুই জন অসাধু প্রকৃতির জেলেকে একটি নৌকা , বৈদ্যুতিক শক মেশিন সহ মালামাল আটক করলেও তারা মালামাল রেখে পালিয়ে যায়।পরে কবিরাজপুর নৌ পুলিশ ফাড়ীর পুলিশ এসে সব মালামাল নিয়ে যায়।
জানা গেছে, আল্ট্রাসনিক ইলেকট্রিক ফিশিং ইনভার্টার মেশিন টেকেরহাট বন্দরের কুমার নদীর পাড়ের বিভিন্ন গ্রামের জেলেদের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে জানান, এ মেশিন মূলত তারা পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর জেলার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ক্রয় করে থাকেন। আল্ট্রাসনিক ইলেকট্রিক ফিশিং ইনভার্টার মেশিন দিয়ে নদীর গভীর জলাশয়গুলোতে ৪০-৬০ ফুট জায়গা জুড়ে পানির মধ্যে ১ থেকে দেড় মিনিট বৈদ্যুতিক শক দিতে থাকে।
কিছুক্ষণের মধ্যে নদীর পানিতে থাকা ছোট বড় মাছ, জীববৈচিত্র্য ও অন্যান্য জলজ প্রাণী অজ্ঞান হয়ে পানির উপর ভেসে ওঠে। পরে সেসব মাছ তারা সহজে শিকার করে থাকে।
কুমার নদীর পাড়ের তাতীকান্দা গ্রামের বাসিন্দা আবুকালাম শেখ বলেন, বৈদ্যুতিক শক মেশিন দিয়ে মাছ ধরার কারণে নদীর সব মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের নদীতে আগের মত আর মাছ পাওয়া যায় না।তাই স্থানীয় প্রশাসন যদি জরুরীভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করে নদীতে মাছ বলতে কিছুই থাকবে না।
Leave a Reply