1. bbdbarta@gmail.com : Delowar Delowar : Delowar Delowar
  2. bbdbartabd@gmail.com : Delower Hossain : Delower Hossain
  3. jmitsolution24@gmail.com : support :
বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গাজায় কঠিন প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী নিহত-৪ জন প্রতিবছর সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দাখিলের নির্দেশ ভাঙ্গায় হোগলাডাঙ্গী সদরদী গ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ জেনেনিন ফরিদপুর থেকে ঢাকা গামি ট্রেনের সময়সূচিঃ- এবারের বিশ্বকাপের ২৯ দিন ও ৫৫ ম্যাচের শেষ হাসি হাসলো ভারত নগরকান্দা উপজেলায় সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মুকসুদপুরে বাস-প্রাইভেটকার-ইজিবাইকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২ জন দক্ষিন বঙ্গের সবচেয়ে বড় পশুর হাট রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট শ্রীপুরে র‍্যাব পরিচয়ে শ্রমিকদের বেতনবোনাসের ১৯ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই গ্রেতার-৫ জন টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বিমানবাহিনীর প্রধান হাসান মাহমুদ খাঁনের শ্রদ্ধা নিবেদন

তৃতীয় ধাপে নতুন ৬৫ হাজার গৃহহীন পরিবার পাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর

  • Update Time : শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২২
  • ৩৪০ Time View

দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় তৃতীয় ধাপে দেশের ৬৫ হাজার ৪৭৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা মূল্যের আধা-পাকা ঘর উপহার হিসেবে দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী । আসন্ন ঈদের পর কিংবা আগে প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন মানুষের হাতে এই ঘর তুলে দিবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায় থেকে তৃতীয় ধাপের এ ঘরগুলোর নকশা ও পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার ফলে ঘরগুলো অধিক টেকসই ও দুর্যোগ সহনীয় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে প্রতিটি ঘর নির্মাণে বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৯০ হাজার টাকা।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি। তৃতীয় পর্যায়ে আরও ৬৫ হাজার ৪৭৪টি ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।

রঙিন টিনশেডের প্রতিটি একক ঘরে ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি করে শোবার ঘর, একটি রান্নাঘর, টয়লেট এবং সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, গৃহহীন মানুষের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় তৃতীয় ধাপের নির্মিত ঘরগুলো আরও মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইটের ভিত ও কলামের পরিবর্তে এবার ব্যবহার করা হবে আরসিসি ঢালাইয়ের গ্রেট বিম ও কলাম। ঘরের চালা মজবুত করতেও কাঠামো নির্মাণে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

আগের দুই পর্যায়ের কাজের অভিজ্ঞতায় মুজিববর্ষের উপহারের এসব ঘরকে অধিকতর টেকসই করতে নকশায় আনা হয়েছে পরিবর্তন। জমি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও নেওয়া হচ্ছে বিশেষ সতর্কতা। নতুন একক গৃহ নির্মাণের ব্যয় বরাদ্দও বেড়েছে। প্রথম দুই ধাপের বাড়িতে বেশ কিছু ত্রুটি পেয়েছে সরকার। বর্ষার শুরুতেই কয়েকটি স্থানে ঘর ভেঙে পড়ে, কোথাও দেয়াল ফেটে যায় আর মাটি দেবে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

যেসব কারণে এ ধরনের ত্রুটি হয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে সমস্যাগুলো সমাধান করেই তৃতীয় ধাপে বাড়িগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। তৃতীয় ধাপে বাড়ি প্রতি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।

টেকসই ঘর তৈরির জন্য সাতটি নির্দেশ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- শুধু বাড়ি নির্মাণের উপযোগী উঁচু জমিতে অনুমোদিত নকশা অনুসরণ এবং গুণগত মান নিশ্চিত করার পর নির্মাণকাজ করতে হবে।

কোনও অবস্থাতেই নতুন ভরাট করা মাটি, নরম মাটি, খাল-জলাশয় ও নদীর তীর এবং নিচু জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না। নিবিড় তদারকির মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে প্রতিটি কাজ। মূল ঘর, রান্নাঘর, বারান্দাসহ বাড়ির বিভিন্ন অংশের আয়তন সঠিক রাখতে হবে। প্রতিটি বাড়ির অনুকূলে দুই শতাংশ জমি নিশ্চিত করতে হবে। গাইডওয়ালের প্রয়োজন হবে, এমন স্থানে বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না।

আশ্রয়ণ ২
এ ছাড়া দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের প্রতিটি বাড়ির ফাউন্ডেশন, পিলার-বারান্দার কলাম, বিম, লিন্টেল, সানসেডে রড স্থাপন, ঢালাই, ইটের গাঁথুনি, কিউরিং, কাঠের ফ্রেম এবং নির্ধারিত পুরুত্বের টিন লাগানোর কাজ নিশ্চিত করতে হবে। ঢালাই কাজের সিমেন্ট, বালু ও খোয়ার অনুপাতসহ গুণগতমান প্রাক্কলন অনুযায়ী সম্পাদন করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নকশা অনুযায়ী দরজা-জানালা তৈরির পর রেড অক্সাইড প্রাইমার দিতে হবে। এরপর দিতে হবে এনামেল পেইন্ট। তিন বস্তা বালুর সঙ্গে এক বস্তা সিমেন্ট মিশিয়ে প্লাস্টার করতে হবে। বাড়ির রঙ করতে হবে দেওয়ালের প্লাস্টার সঠিকভাবে শুকানোর পর। স্যানিটারি ও নামফলক স্থাপনের কাজ শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।

আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে তৃতীয় ধাপে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। দুর্যোগ সহনীয় মাত্রায় ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এবারের ঘরগুলো আরও অধিক টেকসই হবে। ঘরের ভিতে দেওয়া হয়েছে আরসিসি ঢালাই। বাইরে যে তিনটি পিলার আছে, সেগুলো আগে ইটের তৈরি ছিল। এবার আরসিসি ঢালাই দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার যে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে, তা অনেক বেশি মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তৃতীয় ধাপে ৬৫ হাজার ৪৭৪ পরিবার পাবে বাড়ি। চরাঞ্চলের জন্য করা হয়েছে ভূমিকম্প সহনীয় বিশেষ ডিজাইন। নদীভাঙন এলাকার জন্য পোর্টেবল হাউজের নকশা তৈরি করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপে চরে ১ হাজার ৪২টি বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসাবে ঈদুল ফিতরের পর এসব বাড়ি হস্তান্তর করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে মনিটর করা প্রকল্প হচ্ছে আশ্রয়ণ। জমি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এবার অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এলজিইডির ইঞ্জিনিয়াররা ঘর তৈরির আগে মাটি পরীক্ষা করেছে। তারা নিশ্চিত হলেই আমরা সেখানে ঘর করছি। যেখানে এই বছরই মাটি ভরাট করা হচ্ছে, সেখানে এখন ঘর হচ্ছে না। ৮-৯ মাস পর সেখানে কাজ হবে। জমি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ১ লাখ ১৮ হাজার ঘরের মধ্যে আমরা ৪০টি ঘরে ত্রুটি পেয়েছি। যেটাকে অনিয়ম বলা হচ্ছে, সেটি ত্রুটি। কোনও কোনও জায়গায় আমাদের ভূমি ক্ষয় হয়েছে, কোথাও নির্মাণকালে জোয়ারের পানি ঢুকে গেছে। সেই জায়গায় কিন্তু আমরা তাৎক্ষণিক বিকল্প জায়গায় শক্ত প্রতিরক্ষা দিয়ে করে দিয়েছেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024