দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : একদিন পরই কোরবানির ঈদ । এর মধ্যে মাদারীপুর জেলা ধীন দক্ষিন বঙ্গের সবচেয়ে বড় পশুর হাট রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট ।এই হাটে হাটগুলোতে ব্যাপকহারে গরু আমদানী হলেও ক্রেতার উপস্থিতি ছিল কিছুটা কম। বেশিরভাগ গরু যাচ্ছে রাজধানী ঢাকার হাটগুলোতে। দাম নিয়ে ক্রেতারা সন্তুষ্ট থাকলেও গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকশানের আশঙ্কা করছেন খামারীরা।
দক্ষিন বঙ্গের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যবাহী টেকেরহাট পশুর হাট। শতবর্ষী এই হাটে প্রতি বছরই বড় গরু ব্যপকহারে উঠে। তবে এ বছর বড় গরুর চেয়ে মাঝারি সাইজের চাহিদা সব চেয়ে বেশি।ঢাকা,ফেনী, রাজশাহী, ফরিদপুর, রাজবাড়ি থেকে এই পশুর হাটে গরু কিনতে আসেন ব্যাপারিরা। প্রতি বুধ ও শনিবার হাটে উঠছে কয়েক হাজার গরু। অন্যান্য বছরের তুলনায় খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে গরুর দাম।
খুলনা,বাগেরহাট,যশোর,থেকে আসা কয়একজন খামারীরা বলেন বছর ধরে খামারে গরু লালন-পালন করে লাভের আশায় গরু হাটে নিয়ে আসলেও ক্রেতা কম থাকায় লোকসানে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।গরু আমদানি বেশি হওয়ায় দেখে শুনে গরু কিনতে পারছেন ক্রেতারা। দামও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকলেও গত বছরের তুলনায় বেশি বলে জানান তারা।
গেল বছরের তুলনায় এবছর হাটে গরুর আমদানি থাকলেও কম গরু বিক্রী হচে্ছ বলে জানান টেকেরহাটের ইজারাদারা।আর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে হাটগুলোতে সুস্থ পশু নিরিক্ষা এবং অসুস্থ পশুর প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply