মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়ারচর হিন্দু এলাকায় চল্লিশ দশকের দিকে বাজারটি শুরু হয়।বাজারের প্রথম নারী ব্যবসায়ী শিলা রানী মন্ডল তার স্বামীর মৃতুর পরে তিন ছেলে তিন মেয়ে নিয়ে সংসারে টানাটানি লেগেই থাকতো। এখানে তখন দোকান-পাট কিছুই ছিল না। রাস্তার পশ্চিম পাশে বসে প্রথম শাক-সবজি বিক্রি করতেন। এর পর তিনি একটি ছোনা ঘর তৈয়ারী করে নিয়মিত মুদী দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। নারী হয়ে ব্যবসা করায় প্রথমে তাকে বিভিন্ন জন নানা কথা বলেছে। কিন্তু তবুও তিনি থেমে যাননি।
তার সফলতা দেখে উৎসাহিত হয়েছেন আরো কয়েকজন নারী। তারাও দোকান খুলে বসা শুরু করেন।এর মধ্যে সৃতি রানী সরকারের স্বামীর মৃত্যুর পর দশ বছর ধরে তিনি পান সুপারীর দোকান দিয়ে দুই সন্তানকে স্কুলে লেখা পড়া করাচ্ছেন বল্লেন তিনি।এ বাজারে এখন প্রায় বিশ জনের ও বেশী নারী ব্যাবসায়ী রয়েছে।বাজারটি মহল্লার ভিতরে বা রাস্তার পাশে থাকায় নারীরা বিনা দ্বিধায় আসতে পারেন।তাই বাজারের অধিকাংশ ক্রেতাই নারী। সবজি দোকান থেকে শুরু করে মাছ ,মাংস,পান সুপারী,গ্রামের ফল পেপে, কালা, নারকেল বিভিন্ন জাতের ফল পাওয়াযায় তাছারা মুদি, মনোহারী, ওষুধ দোকানও আছে, রাস্তার পুর্ব পাশে প্রায় অর্ধ শতাধীক নারী বা বউ দের গরুর দুধ বিক্রি করতে দেখাগেছে।
প্রতিদিন ভোরে এখানে বাজার জমে। নিম্ন আয়ের মানুষ এই বাজারে বেশি ভিড় করলেও এখন মধ্যবিত্তরাও আসতে শুরু করেছেন।সমিতা রানী বলেন, এখানে ব্যবসা করে তার সংসারে সচ্ছলতা এসেছে। ছেলে-মেয়েদেরও বিয়ে দিয়েছেন। জমি কিনে বাড়ি করেছেন। এখন স্বামী-স্ত্রী দুইজনে মিলে ব্যবসা করছেন।
স্থানীয়রা বলেন, নারীরাই এখানে বেচা-কেনা করে। এজন্য এর নাম বউ বাজার হয়েছে। বাজারটি জমে উঠেছে ৪২বছর ধরে। নাম পাল্টাতে চাইলেও মানুষ একে বউ বাজারই বলে। এখানে কোনো খাজনা নেয়া হয় না।
Leave a Reply