দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ভারতের কলকাতার সম্পর্ক নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে নির্মিতব্য এ তথ্যচিত্রটি পরিচালনা করবেন পশ্চিমবঙ্গের পরিচালক গৌতম ঘোষ। ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ এবং কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রযোজনায় এই তথ্যচিত্রের নাম ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’।
বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ, মুজিববর্ষেই তথ্যচিত্রটি করার পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়। আশা করছি জুন মাসের মধ্যে তার নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে।’
৪ এপ্রিল কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজে শুরু হয়েছে ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’র শ্যুটিং। ৩০ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই তথ্যচিত্রে উঠে আসবে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কলকাতার সম্পর্ক।
১৯৩৪ সালে ১৪ বছর বয়সে বাবার হাত ধরে চিকিৎসার জন্য প্রথমবার কলকাতায় পা রাখেন মুজিব। শেষবার এসেছিলেন ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। তখন তিনি বঙ্গবন্ধু, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সে বার মুজিব আসেন ব্রিগেডে ভাষণ দিতে। ছাত্রজীবনে কলকাতায় থেকেছেন ১৯৪২ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত। ইসলামিয়া কলেজের কলা বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। থাকতেন বেকার হোস্টেলে। পরবর্তীতে ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হন।
ছাত্রজীবনের পাশাপাশি রাজনৈতিক জীবনও এগিয়ে চলে। এই পর্যায়ে পার্ক সার্কাস, রিপন স্ট্রিট, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে যাতায়াত করেছেন মুজিব। রিপন স্ট্রিটে ছিল ‘মিল্লাত’ পত্রিকার অফিস। ৪০ থিয়েটার রোডে তখন থাকতেন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী। মুজিব ছিলেন তাঁর খুব ঘনিষ্ঠ। কলকাতার এ রকম যেসব জায়গা বঙ্গবন্ধুর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল, সেগুলির কথা উঠে আসবে গৌতম ঘোষের তথ্যচিত্রে।
পরিচালক গৌতম ঘোষ জানান, প্রামাণ্য তথ্য আছে জেলে বসে বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে। তাঁর কলকাতায় থাকার সময়কার বিভিন্ন ঘটনা বারবার অতীতে গিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে এই তথ্যচিত্রে। বঙ্গবন্ধুর জীবনের এই পর্ব নিয়ে ভবিষ্যতে পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিও হতে পারে।
তথ্যচিত্র নির্মাণ প্রসঙ্গে অন্যতম প্রযোজক, ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’-এর সহ-সভাপতি সত্যম রায়চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে যতবারই গিয়েছি, ততবারই বহু মানুষের কাছে শুনেছি বঙ্গবন্ধুর জীবনের সঙ্গে কলকাতার যে বাড়িগুলো জড়িত, সেসবের একটা ডকুমেন্টেশন হওয়া উচিত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই তথ্যচিত্রটি স্থায়ী কাজ হিসেবে থেকে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস।’ আনন্দবাজার
Leave a Reply