দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে কুয়েত প্রবাসী আজিজুর হত্যা মামলায় স্ত্রীর পরকীয়ায় প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।এ সময় হাবিবুর রহমানকে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় প্রদান করেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের মোতালেব মির্জার ছেলে।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন, নিহত আজিজুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ওরফে তাপসী এবং গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ভজনদী গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে আলী মিয়া। মামলার বিবরণে জানা গেছে, নিহত কুয়েত প্রবাসী আজিজুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া বেগমের সাথে হাবিবুর রহমানের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানার পর আজিজুর রহমান দেশে আসেন। এরপর বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে আজিজুর রহমানের সাথে হাবিবুর রহমানের কথা হয়।
এক পর্যায়ে হাবিবুর রহমান তার বাসায় বেড়াতে যাবার জন্য আজিজুর রহমানকে দাওয়াত দেন। পরে ২০০৭ সালের ১৮ মার্চ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাবিবুর রহমানের বাসায় যাওয়ার পথে মুকসুদপুরের দিগনগরে পৌঁছালে স্ত্রী রাবেয়া বেগম, প্রেমিক হাবিবুর রহমান ও তার লোকজন আজিজুর রহমানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরদিন ১৯ মার্চ গম ক্ষেত থেকে আজিজুরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের পিতা মো. সরাব আলী বাদী হয়ে তিনজনের নামে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করলে গত (মঙ্গলবার) আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাবিবুর রহমান পলাতক থাকলেও খালাস পাওয়া বাকী দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply