দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি গ্রামে ১৯৮৮ সালে জন্ম পারুল রানীর। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।অভাবের কারণে তৃতীয় শ্রেণিতে উঠেই স্কুল ছেড়েছিলেন। ১৩ বছর বয়সে বাধ্য হয়েছিলেন বিয়ের পিঁড়িতে বসতে। ২০০১ সালে বাবা মহেশ চন্দ্র কিশোরী পারুলকে বিয়ে দেন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সুজা বর্মণের সঙ্গে।
দিনমজুর স্বামীর সংসারে এসেও অভাব পিছু ছাড়ছিল না। একবেলা খাবার জুটলেও অন্য বেলা উপোস থাকতে হতো ।বাবার বাড়ির পর স্বামীর বাড়িতে এসেও অভাব, দারিদ্র্য মেনে নিতে পারেননি পারুল। কিছু করার স্বপ্ন থেকে শুরু করেন পিঠা বিক্রির ব্যবসা। এতে কিছু আয় হয়। তিন মাসের লাভের টাকায় কেনেন ১০টি হাঁস ও ১০টি মুরগি।
৯ মাস পর সেগুলোর বাচ্চা বিক্রি করে এবং পিঠা বিক্রির জমানো টাকায় একটি দেশি জাতের ছাগল কেনেন। পাশাপাশি ধান সেদ্ধ করে চালের ব্যবসাও শুরু করেন।এ অবস্থায় ২০১২ সালে ছাগল পালন শুরু করেন। দেখতে দেখতে ছোটখাটো একটি খামার হয়ে যায় তাঁর।সংগ্রামী মানুষটির পারুল রানী।
গত ৮ বছরে ১৫৫টির বেশি ছাগল বিক্রি করে আয় করেছেন অন্তত সাত লাখ টাকা। শুধু নিজের ভাগ্য বদল করে থেমে থাকেননি। প্রতিবেশী ও আশপাশের গ্রামের অভাবগ্রস্ত নারীদেরও পথ দেখিয়েছেন। বিষ্ণুপুরসহ আশপাশের তিনটি গ্রাম মিলিয়ে ২০০ নারী এখন ছাগল পালন করছেন। পারুলের মতো তাঁদেরও বাড়িতে এখন ছাগলের খামার।
Leave a Reply