দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : বরিশাল বিভাগের স্বরূপকাঠি মিয়ারহাট বন্দরসংলগ্ন কালীবাড়ি খালে সপ্তাহে দুই দিন সোম ও বৃহস্পতিবার বসে রসালো সুস্বাদু মৌসুমি ফল তরমুজের ভাসমান হাট।
দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা ভোলা, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় হাজার হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষাবাদ হয়। স্বরূপকাঠিসহ পার্শ্ববর্তী নাজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলার অনেক ব্যবসায়ী এই মৌসুমে ঐসব অঞ্চল থেকে খেতমূলে তরমুজ কিনে এনে ভাসমান হাটে বিক্রি করেন।
ভোলার চরফ্যাশনের নুরাবাদ গ্রামের চাষি মো. হুমাউন কবির ও পটুয়াখালীর গলাচিপার নলুয়াবগি গ্রামের চাষি মো. মনজুর আহসান জানান, প্রথম দিকে তরমুজের ফলন ও সাইজ ভালো হয়েছে। এই বছর তরমুজের দাম ভালো পাওয়ায় গত বছরের করোনাকালীন আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে জানান তারা। তবে বর্তমানে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
এই ভাসমান হাটে ট্রলারে ট্রলারে বিভিন্ন জাতের ছোট বড় সাইজের তরমুজের পসরা বসে। এই মোকাম থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তরমুজ চালান দেয়া হয়। মিয়ারহাট বন্দরের ব্যবসায়ী মো. হারুন অর রশিদ জানান, এখান থেকে ট্রাক, লঞ্চ, ট্রলারযোগে রাজধানী ঢাকা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তরমুজ চালান দেওয়া হয়।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা মোকাম থেকে তরমুজ কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করেন। অপরদিকে এখানকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও হাট থেকে তরমুজ কিনে বিভিন্ন হাট বাজারসহ গাও গ্রামে ভ্যানে, নৌকায় করে তরমুজ বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার এ মৌসুমি ফল তরমুজের হাট বসে।
সরেজমিনে মিয়ারহাট বন্দর সংলগ্ন কালি বাড়ি খালে তরমুজের ভাসমান হাট ঘুরে দেখা গেছে, বড় সাইজের ১০০ তরমুজ ৩০/৩২ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের তরমুজ ২০/২২ হাজার টাকা, পরের সাইজের তরমুজ ১২/১৩ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের তরমুজ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তরমুজের ভাসমান হাটে আসা দূর থেকে আগত ব্যবসায়ী মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মো. আব্দুল হালিম ফরাজি জানান, এবার তরমুজের দাম বেশি। বর্তমানে সপ্তাহে দুই হাটে প্রায় ৭৫/৮০ লাখ টাকার তরমুজ পাইকারিভাবে বিক্রি হয় বলে ব্যবসায়ী সূত্র জানায়। এ বছর গরমের শুরুতে রোজা পড়ায় চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি তরমুজের দামও বেড়েছে দ্বিগুণ, অভিযোগ খুচরা ক্রেতাদের ।
Leave a Reply