শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১০:১৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
মুকসুদপুরের দিগনগর ইউনিয়নে সৈর্দ্দী গ্রামেস্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ চায়ের সঙ্গে সিকারেট ধূমপান করলে খাদ্যনালিতে ক্যানসার হয় বাগেরহাটে ৭০ বছরে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন সাবেক কলেজশিক্ষক শওকত আলী বাংলা দেশের সব মসজিদে খতম তারাবির নামাজ পড়ার আহ্বান গোপালগঞ্জের লতিফপুর ইউপি নির্বাচনে সংঘর্ষ ১ হাজার জনকে আসামি করে দুই মামলা গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে তার সমাধিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে টুঙ্গিপাড়ায় আসছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুকসুদপুর উপজেলার নওহাটা গ্রামে বজ্রপাতে মাদ্রাসাছাত্র নিহত শিশু হাসানের চিকিৎসার জন্য দেশবাসীর কাছে সাহায্য চাই্রলেন তার মা বাবা। গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী ট্রেনের ধাক্কায় মোটর সাইকেল আরোহী স্কুলশিক্ষক নিহত
বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষ করে লাভবান ৭৮টি ভ্রাম্যমাণ মৌচাষির দল

বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষ করে লাভবান ৭৮টি ভ্রাম্যমাণ মৌচাষির দল

দৈনিক বঙ্গবন্ধু দেশ বার্তা : শরীয়তপুরে বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে খামারের সংখ্যা। তেল ও মসলা জাতীয় ফসলি জমির পাশে গড়ে ওঠা এসব মৌখামার কৃষির জন্য হয়ে উঠেছে আশীর্বাদ। মৌমাছির পরাগায়নের ফলে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ উৎপাদন বাড়ে কালোজিরা, ধনিয়া আর সরিষার ফুলে। বাণিজ্যিক এ মধুর স্বাদ, গন্ধ, রং ও গুণগত মান ভালো হওয়ায় রপ্তানি হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারেও।

এ বছর শরীয়তপুরে ৭৮টি ভ্রাম্যমাণ মৌচাষির দল এসেছে। মধু চাষ করে নিজেরাই সামলম্বী হচ্ছেন না, অবদান রাখছেন অর্থনীতিতেও। মৌখামার ঘিরে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হয়েছে অনেক বেকার যুবকের। মধু কিনতে মৌচাষির কাছে আসেন দেশি-বিদেশি ক্রেতা। দরদাম করে মধু কিনে নিয়ে যান তারা। তবে মধুর ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ খামারিদের। ন্যায্য দাম পেলে এ শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখবে বলে মনে করেন খামারিরা।

সাতক্ষীরা থেকে মৌ চাষ করতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মধু ভারতের ডাবর, এপি, বাংলাদেশের অলওয়েজ, হামদর্দ নেয়। কিন্তু আমরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি না। ন্যায্য মূল্য পেলে আমরা মৌ চাষকে চালিয়ে নিতে পারবো।’ শরীয়তপুরের মাঠে মাঠে এখন কালোজিরা আর ধনিয়ার মতো মসলা জাতীয় ফসলে ভরে উঠেছে। মাঠজুড়ে সাদা ফুল বাতাসে দোল খায়। বিচরণ করছে মৌমাছির দল। বসছে ফুলে, করছে মধু আহরণ। ফসলি মাঠের পাশে অস্থায়ীভাবে অবস্থান নিয়েছেন মৌচাষিরা। বসিয়েছেন সারি সারি মৌবাক্স। প্রতিটি বাক্সে একটি করে রানি মৌমাছিসহ কয়েক হাজার কর্মী মৌমাছি বসবাস করে। তারা ছুটে যায় ফসলি মাঠে। ফুল থেকে আহরণ করেছে ফুলের নির্যাস। মৌমাছির সেই নির্যাস বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রূপান্তরিত হয় ঘন মধুতে।

মৌচাষিরা ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর বাক্সের ফ্রেমগুলো থেকে নিষ্কাশন যন্ত্রের সাহায্যে মধু সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত মধু হাতের স্পর্শ ছাড়াই সম্পূর্ণ মেশিনের সাহায্যে বের করা হয়। এরপর তা মজুত রাখা হয় বিভিন্ন আকারের কনটেইনারে। তারপর মাঠ থেকেই সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন মধু।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শরীয়তপুরে ৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে ধনিয়া ও ৩ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে কালোজিরা আবাদ হয়েছে। এসব ফসলি মাঠের পাশে ৯ হাজার ৪৪০টি মৌবাক্স বসানো হয়েছে। এতে ৫৫ টন মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আছে। যার বাজারমূল্য প্রতি কেজি ৮০০ টাকা দরে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2020
Desing & Developed BY BBDBARTA